এক কাপড়ে বের হয়ে গিয়েছিলাম যুদ্ধের জন্য

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিক। কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান। জন্ম ৪ অক্টোবর, ১৯৪৯ সালে। স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব দেয়। পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার উত্তর বুড়িশ্চর গ্রামে। বাবা এস এম হাফেজ আহমেদ এবং মা শামসুন নাহার। স্ত্রী ফোরকান ইবরাহিম। তাঁদের এক মেয়ে, এক ছেলে।
১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। ২৫ মার্চের পর কে এম সফিউল্লাহর নির্দেশে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। ১ ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তুমুল যুদ্ধের পর ৪ ডিসেম্বর ভোরে মুক্ত হয় আখাউড়া।‘সি’ কোম্পানির দলনেতা ইবরাহিমও সহযোদ্ধাদের নিয়ে সেই যুদ্ধে অংশ নেন। একাত্তরের রণাঙ্গনের সেই সব সাহসী গল্প শুনতে এক সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএসের নিজ বাসায় তার মুখোমুখি হয়েছিল পূর্বপশ্চিম।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রফিক মৃধা।

‘আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার ৪৫ বছর পর স্মৃতিতে অনেক কিছুই জেগে ওঠে। কেনইবা মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। কেনইবা আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম। কেনইবা আমরা রণাঙ্গনে কাটালাম দিন-রাত মাসের পর মাস। কী বা লক্ষ্য ছিল। কতটুকুই বা অর্জিত হলো। কতটুকুই বা হলো না। এ সকল মূল্যায়ন করার উপযুক্ত সময় এখন। মার্চ বা ডিসেম্বর মাস আসলে আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেশি কথা হয়।’

‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের শেষ অংশ। সেই রাজনৈতিক সংগ্রাম শুরুর লক্ষ্য ছিল বাঙ্গালি সংস্কৃতি ও ভাষাকে রক্ষা করা। পরবর্তী পর্যায়ে সে লক্ষ্য এসে দাঁড়ায় বাঙ্গালীর অর্থনৈতিক এবং পশ্চিম পাকিস্তানী উর্দু ভাষী শাসক গোষ্ঠীর শোসন ও বঞ্চনা থেকে মুক্ত হওয়া। দ্বিতীয় ও শেষ শান্তিপূর্ণ অধ্যায় ছিল সাংবিধানিক নিয়মের মধ্যে থেকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রে বাঙ্গালিদের জন্য একটি মজবুত আসন সৃষ্টি করা।’

‘১৯৭০ সালের নির্বাচন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি মাইলফলক। সে নির্বাচনের মাধ্যমে তৎকালীন আওয়ামী লীগ ক্ষমতা পেয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর আমলাতন্ত্র এবং সামরিক বাহিনী ১৯৭০ সালের নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করে। বিধায় মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী ও অপরিহার্য হয়ে পড়ে।’

‘১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলাম। সেখানে নির্মোহ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক পরিবেশ। ৬৮ সালের জুলাইয়ে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক ছাত্র হিসেবে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হলাম। সে সময় পূর্বপাকিস্তানে আন্দোলন ছিল তুঙ্গে এবং তখনকার ছাত্র আন্দোলন তথা গণ-আন্দোলনের একজন অংশীদার এবং সাক্ষী আমি। লাখ জনতা ও মানুষের মধ্যে আমি একজন ছিলাম। কারণ আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম।’

‘১৯৭০ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় ছেড়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যাই। একই বছরের সেপ্টেম্বরে কমিশন প্রাপ্ত হয়ে সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগদান করি। কর্মস্থল হয় দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ঢাকা থেকে ২০/২১ মাইল উত্তরে ভাওয়াল রাজাদের বাড়ি বা রাজপ্রসাদ, বর্তমানে গাজীপুর জেলার সদর।’

‘আমার চাকরী যখন সাড়ে সাত মাস তখন ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট জয়দেবপুরে ছিলাম। এটা আমাদের জন্য ছিল বিরাট আশীর্বাদ। আমরাই শুধু ওই সামরিক অবস্থানের অধিবাসী ছিলাম। আমাদের চতুর্পাশে ছিল বাঙ্গালী ও বাঙ্গালীগ্রাম।’

‘বাঙ্গালী জনপদ, বাজারে যাওয়া, মেলামেশা করা, খেলাধুলা করা- সব কিছুর জন্যই বাঙ্গালি জনগণের সঙ্গে মিশতে পারতাম। আমি তখন ছিলাম তরুণ। দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সকল অফিসারদের মধ্যে বয়স এবং চাকরিতে ছিলাম কনিষ্ঠতম। এই প্রেক্ষাপটে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে যতগুলো বেঙ্গল রেজিমেন্ট ছিল তাদের মধ্যে এবং দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মধ্যে একটি মৌলিক তফাৎ সৃষ্টি হয়। কারণ অন্য সকল রেজিমেন্টের অবস্থান ছিল সেনানিবাসের ভেতরে।’

‘৭ মার্চের ভাষণ বঙ্গবন্ধু যা বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষণা ব্যতীত সে ভাষণে অন্য সকল উপাদানই ছিল একটি মুক্তিযুদ্ধের জন্য। ইতিহাস সাক্ষী দেয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে প্রত্যক্ষভাবেই পাকিস্তানি উপরস্থ কর্মকর্তাদের হুকুম অমান্য করে।’
‘যা হোক, ২৬ তারিখ (মার্চ ১৯৭১) সকালে চট্রগামে ষোল শহরে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট যেমন বিদ্রোহ করে ঠিক তেমনই দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলের সৈনিকগণ ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল যেখানে যেখানে সেনা মোতায়েন ছিল তারা বিদ্রোহ করে। আমরা যারা জয়দেবপুরে রাজবাড়িতে ছিলাম, অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিয়াউর রহমানের ঘোষণা শুনেছি বেতারের মাধ্যমে; খবরেও শুনেছি।’

‘জিয়াউর রহমানের ঘোষণার পর ২৭ তারিখ বিকেলে জয়দেবপুর রাজবাড়ি থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সব কিছু নিয়ে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছাড়া এক কাপড়ে বের হয়ে গিয়েছিলাম যুদ্ধের জন্য। যেদিন আমরা বের হই, সেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদের বিরুদ্ধে; আইনের বিদ্রোহী, পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের সরকার এবং সামরিকবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলাম। বিদ্রোহের শাস্তি একটাই তার নাম মৃত্যুদণ্ড। আমরা যখন বিদ্রোহ করেছিলাম, তখন জানতাম না কবে আমাদের যুদ্ধ শেষ হবে। কবে আমাদের দেশ স্বাধীন হবে। এটি একটি মরন পণ বিদ্রোহ। যুদ্ধ শুরু হল। সেই যুদ্ধ নয় মাস চলেছে।’

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মুক্তিযুদ্ধের কয়েকটি ঘটনাও তুলে ধরেন-

‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধারা রণাঙ্গনে বিভিন্ন আঙ্গিকে ছিলেন। যেমন- গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা, সাব-সেক্টেরে মুক্তিযোদ্ধা ও ব্যাটালিয়নে যোদ্ধা ছিলেন। কিন্তু বেঙ্গল রেজিমেন্টগুলোই মুক্তিযুদ্ধের মূল কোর বা কেন্দ্রীয় স্তম্ভ ছিল। তার চতুর্পাশে যোদ্ধারা নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করে মুক্তিযোদ্ধা দল বা বাহিনী গঠন করে ক্রমান্বয়ে বড় হতে থাকে। মনে করেন, দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ময়মনসিংহ শহরে পৌঁছায় মার্চের ২৯ তারিখ, আমাদের সংখ্যা ছিল ৬শ। সেই দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটা অংশ পাঠিয়ে দিল সিলেটে, একটা অংশ পাঠিয়ে দিল নরসিংদীতে যুদ্ধ করার জন্য। বাকীদের নিয়ে রওনা দিলাম ভৈরববাজার হয়ে আশুগঞ্জ, আশুগঞ্জ হয়ে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া।’

‘১০/১২ দিন পর আমাদের সংখ্যা হয়ে যায় দুই হাজারের বেশি। দুই মাস পর তা দাঁড়ায় ছয় হাজারে। এরা সকলেই তরুণ ছিল। এদেরকে স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণ দিয়েছি আমরা নিজেরা। তারপর তারা যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। যুদ্ধে তারা সাব-সেক্টেরের অধীনে ছিল।’
‘যারা দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগদান করেছিল তাদের সকলের রিসিপশন, আবাসনে সাহায্য করা, প্রশিক্ষণে বন্দোবস্ত আমাদেরই করতে হতো।’

‘বিদ্রোহ করার পর যিনি অধিনায়ক তিনিই হয়ে গিয়েছিলেন সেক্টর কমান্ডার তৎকালীন মেজর কাজী মো. শফিউল্লাহ। পরবর্তীতে তিনি হয়েছিলেন মেজর জেনারেল কাজী কে এম শফিউল্লাহ বীর উত্তম বা প্রথম সেনাবাহিনীর প্রধান।’

‘এপ্রিল মাসে শেষের দিকে আমরা তেলিয়া পাড়া যাই। সেখানে ১৫-১৬ দিন ধরে তেলিয়া পাড়া চা বাগান রক্ষার যুদ্ধ চলে। ১৯ মে ছিল যুদ্ধের শেষ দিন।

পরে আমরা নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে ভারতের সীমানায় চলে যেতে বাধ্য হই। এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তেলিয়া পাড়া চা বাগানের সামনে শত্রুর একটা গোলা এসে পড়েছিল। এতে ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এদের মধ্যে একজনের নাম মনে আছ নিজাম উদ্দিন, সে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া কলেজের ছাত্র।’

‘বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গলের বিপরীতে ভারতের খোয়াই। খোয়াই থেকে পূর্ব দিকে আশ্রমবাড়ি ছিল আমাদের এলাকা। তেলিয়া পাড়া পার হয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত ধরে ধরে দক্ষিণ দিকে আখাউড়া পর্যন্ত ছিল আমাদের তিন নম্বর সেক্টরের সীমানা। এখানেই এস ফোর্স গঠিত হলো। নিয়মিত যুদ্ধের জন্য পুনরায় প্রস্তুতি গ্রহণ করলাম।’

‘দেড় থেকে দুই মাস ব্যাটালিয়ন হিসেবে আমরা যুদ্ধে যাইনি। নভেম্বরের শেষের দিকে আবার যুদ্ধ শুরু করলাম নিয়মিতভাবে। তখন আমাদের অধিনায়ক ছিলেন প্রয়াত মেজর জেনারেল মঈনুল হোসেন চৌধুরী বীর বিক্রম আর আমি ছিলাম সি কোম্পানির কমান্ডার।’

‘নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ দিবাগত রাতের পর থেকে পাঁচ দিন যুদ্ধের পর আখাউড়ারর পতন ঘটে। দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টের অনেক সৈনিক শহীদ হন। আখাউড়া মুক্ত করা ছিল পূর্ব পাকিস্তানের রণাঙ্গনের জন্য অনেক বড় সাফল্য। এর ফলে আখাউড়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত রাস্তা খুলে যায়।’

‘আখাউড়া যুদ্ধে সম্মুখ নেতৃত্বে বিশেষ সহযোগিতার জন্য বীর প্রতীক খেতাব পাই। আমার সঙ্গে আরও নয়জন সৈনিক বীর বিক্রম ও বীর প্রতীক খেতাব পান। আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু মহান আল্লাহ তালা আমাদের জীবন নেননি। যুদ্ধে আমাদের সঙ্গে অনেকই আহত হয়েছেন আমি আহত হইনি। সেটাও আল্লাহর দয়া।’

‘আমি মনে করি, স্বাধীন সার্বভৌম
বাংলাদেশকে যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বড় করতে হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সাম্য ও শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বাঙালি এবং অবাঙালি মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ খিস্ট্রান, সমতল ভূমির বাঙালি বা পাহাড়ে বসবাসকারী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সকলকে নিয়ে দেশ গড়ে তুলতে হবে।’

‘এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে
আদর্শিক নেতৃত্ব প্রয়োজন। আদর্শ নেতৃত্ব ব্যতীত অনুসারী সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। আমি বলতে বাধ্য, আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আদর্শ, নেতৃত্ব নয়। বাংলাদেশের জনগণ, বিশেষ করে তরুণ সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাব আসুন, একবার দেশকে নিয়ে চিন্তা করি এবং নির্মোহভাবে দেশের মঙ্গলের জন্য চেষ্টা করি।’

‘আজ ৪৫ বছরে দুটি শত্রু আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। একটি শত্রু হচ্ছে জঙ্গিবাদ। কিন্তু তার থেকে অনেক বড় শত্রু মূল্যেবোধের অবক্ষয় ও দুর্নীতির প্রসার। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে যদি আমরা একটি ঘোড়া মনে করি, সেই ঘোড়ার পিঠে চড়ে এই মুহূর্তে দুইজন আরোহী। একজন হচ্ছেন উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ আরেকজন হচ্ছেন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মধ্য থেকে কীভাবে নিজের পকেট ভারি করব।’

‘সামজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় থেকে বলতে চাই, জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া করবে কিন্তু সমাজ যে ধ্বংস হয়ে গেল সেদিকে কারো দৃষ্টি নেই। থাকলে খুব কম লোকের আছে। জাতির তরুণ সমাজকে আহ্বান জানাব, জেগে উঠুন। চিন্তার দরজা খুলে দিন, চোখের দরজা খুলে দিন। খোলার পর দৃষ্টিকে প্রসারিত করুন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর